হিংসা
اَمۡ یَحۡسُدُوۡنَ النَّاسَ عَلٰی مَاۤ اٰتٰهُمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ۚ فَقَدۡ اٰتَیۡنَاۤ اٰلَ اِبۡرٰهِیۡمَ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ وَ اٰتَیۡنٰهُمۡ مُّلۡکًا عَظِیۡمًا ﴿۵۴﴾
বরং তারা কি লোকদেরকে হিংসা করে, আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে? তাহলে তো আমি ইবরাহীমের বংশধরকে কিতাব ও হিকমত দান করেছি এবং তাদেরকে দিয়েছি বিশাল রাজত্ব। (সুরা নিসা-৫৪)
انَ النَّاسُ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً ۟ فَبَعَثَ اللّٰهُ النَّبِیّٖنَ مُبَشِّرِیۡنَ وَ مُنۡذِرِیۡنَ ۪ وَ اَنۡزَلَ مَعَهُمُ الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ لِیَحۡکُمَ بَیۡنَ النَّاسِ فِیۡمَا اخۡتَلَفُوۡا فِیۡهِ ؕ وَ مَا اخۡتَلَفَ فِیۡهِ اِلَّا الَّذِیۡنَ اُوۡتُوۡهُ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡهُمُ الۡبَیِّنٰتُ بَغۡیًۢا بَیۡنَهُمۡ ۚ فَهَدَی اللّٰهُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لِمَا اخۡتَلَفُوۡا فِیۡهِ مِنَ الۡحَقِّ بِاِذۡنِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ یَهۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۲۱۳﴾
মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদেরকে প্রেরণ করলেন এবং সত্যসহ তাদের সাথে কিতাব নাযিল করলেন, যাতে মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত। আর তারাই তাতে মতবিরোধ করেছিল, যাদেরকে তা দেয়া হয়েছিল, তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পরও পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষবশত। অতঃপর আল্লাহ নিজ অনুমতিতে মুমিনদেরকে হিদায়াত দিলেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন। (সুরা বাকারা-২১৩)
اَلشَّیۡطٰنُ یَعِدُکُمُ الۡفَقۡرَ وَ یَاۡمُرُکُمۡ بِالۡفَحۡشَآءِ ۚ وَ اللّٰهُ یَعِدُکُمۡ مَّغۡفِرَۃً مِّنۡهُ وَ فَضۡلًا ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۶۸﴾ۖۙ
শয়তান তোমাদেরকে দরিদ্রতার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অশ্লীল কাজের আদেশ করে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার পক্ষ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (সুরা বাকারা-২৬৮)
اِنَّمَا ذٰلِکُمُ الشَّیۡطٰنُ یُخَوِّفُ اَوۡلِیَآءَهٗ ۪ فَلَا تَخَافُوۡهُمۡ وَ خَافُوۡنِ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۷۵﴾
সে তো শয়তান। সে তোমাদেরকে তার বন্ধুদের (কাফের, মুশরিক, মনাফিক) ভয় দেখায়। তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, বরং আমাকে ভয় কর, যদি তোমরা মুমিন হও। (সুরা আলে ইমরান-১৭৫)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মু’জিযা
মুজাহিদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলতেন, আল্লাহর কসম, যিনি ছাড়া কোন (হক্ব) ইলাহ নেই। আমি ক্ষুধার যন্ত্রণায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতাম। আর কখনও পেটে পাথর বেঁধে রাখতাম। একদা আমি তাঁদের (রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং ছাহাবীদের) রাস্তায় বসেছিলাম, যেখান দিয়ে তারা বের হতেন। আবূ বকর (রাঃ) রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে কুরআনের একটি আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। আমি এ উদ্দেশ্যেই তা করলাম, যেন তিনি আমাকে কিছু খেতে দিয়ে পরিতৃপ্ত করেন। কিন্তু তিনি চলে গেলেন, কিছুই করলেন না। এরপর ওমর (রাঃ) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকেও সেই একই উদ্দেশ্যে কুরআনের একটি আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। কিন্তু তিনিও চলে গেলেন, কিছুই করলেন না।
অতঃপর আবুল কাসেম (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, আমাকে দেখে তিনি মুচকি হাসলেন। তিনি আমার চেহারা দেখে মনের কথা বুঝতে পারলেন এবং বললেন, ‘হে আবূ হির (রাঃ)!’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আমি উপস্থিত।’ তিনি বললেন, ‘তুমি আমার সঙ্গে চল’! অতঃপর তিনি চললেন, আমি তাঁর অনুসরণ করলাম। তিনি বাড়ীতে প্রবেশ করলেন। অতঃপর আমি ভিতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলাম। তিনি অনুমতি দিলে আমি প্রবেশ করলাম।
তিনি ঘরে প্রবেশ করে একটি পেয়ালায় কিছু দুধ দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ দুধ কোথা থেকে এসেছে?’ বাড়ির লোকজন উত্তর দিল, ‘অমুক পুরুষ অথবা অমুক মহিলা আপনার জন্য হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছে।’ তিনি বললেন, ‘হে আবূ হুরায়রা (রাঃ)’! আমি বললাম, ‘আমি হাযির, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ‘আহলে সুফ্ফা’র লোকদেরকে গিয়ে এখানে ডেকে আন’। (রাবী বলেন) আহলে সুফ্ফা ছিল ইসলামের মেহমান। তাদের পরিবার- পরিজন, ধন-সম্পদ কিছুই ছিল না। আর এমন কেউ ছিল না, যার উপর ভরসা করা যায়। যখন কোন ছাদাক্বার মাল রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট আসত, তখন তিনি তাদের জন্য পাঠিয়ে দিতেন। নিজে সেখান থেকে কিছুই গ্রহণ করতেন না। আর যদি কোন হাদিয়া (উপঢৌকন) আসত, তিনি সেখান থেকেও এক অংশ তাদের জন্য পাঠিয়ে দিয়ে এতে তাদেরকে শরীক করতেন এবং নিজে এক অংশ গ্রহণ করতেন।
(আবু হুরায়রা বলেন) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আদেশ শুনে আমি হতাশ হয়ে পড়লাম। (মনে মনে) বললাম, এতটুকু দুধ দ্বারা আহলে সুফ্ফা’র কি হবে? আমিই এ দুধ পানের বেশী হকদার। আমি তা পান করলে আমার শরীরে শক্তি ফিরে পেতাম। যখন তারা এসে গেলেন, তখন তিনি আমাকে আদেশ দিলেন, আমিই যেন তাদেরকে দুধ পান করতে দেই। আর আমার আশা রইল না যে, এ দুধ থেকে আমি কিছু পাব। কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর আদেশ মান্য করা ছাড়া আমার কোন গত্যন্তর ছিল না।
সুতরাং আমি আহলে সুফ্ফার নিকট গিয়ে তাদেরকে ডেকে আনলাম। তারা এসে ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তারা ঘরে এসে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করলেন। তিনি বললেন, ‘হে আবূ হুরায়রা!’ আমি বললাম, ‘আমি হাযির হে আল্লাহর রাসূল!’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে বললেন, ‘এটি তাদেরকে দাও।’ আমি (দুধের) পেয়ালা হাতে নিয়ে দিতে শুরু করলাম। এক ব্যক্তির হাতে দিলাম, সে পান করে পরিতৃপ্ত হল এবং আমাকে পেয়ালা ফেরত দিল। অতঃপর আমি অন্য একজনকে দিলাম, সেও তৃপ্তি সহকারে পান করে পেয়ালা ফেরত দিল। তৃতীয় জনকে দিলে সেও তাই করল। এভাবে আমি (সর্বশেষে) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট পৌঁছলাম। সবাই পরিতৃপ্ত হল। তিনি পেয়ালা নিলেন এবং আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, ‘হে আবূ হুরায়রা’। আমি বললাম, ‘আমি হাযির, হে আল্লাহর রাসূল’। তিনি বললেন, ‘এখন আমি আর তুমি বাকি’। আমি বললাম, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন, হে আল্লাহর রাসূল’।
তিনি বললেন, ‘বসে পড় এবং পান কর।’ আমি বসে পান করলাম। তিনি (পুনরায়) বললেন, ‘পান কর’। আমি পান করলাম। তিনি একথা বলতেই থাকলেন, অবশেষে আমি বলতে বাধ্য হলাম যে, ‘আল্লাহর শপথ! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, আমার পেটে আর জায়গা নেই’। তিনি বললেন, ‘তাহলে আমাকে দাও। আমি তাঁকে দিলে তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং বিসমিল্লাহ বলে বাকি দুধ পান করলেন। [ছহীহ বুখারী হা/৬৪৫২, ‘রিকাক্ব’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৭, মিশকাত হা/৪৬৭০, ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, ‘অনুমতি’ অনুচ্ছেদ]
শিক্ষা:
- রাসূল (সাঃ) ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ। তিনি তাঁর ছাহাবীদের মুখ দেখেই তাদের অন্তরের অবস্থা বুঝতে পারতেন।
- বসে পান করা সুন্নাত।
৩. বিসমিল্লাহ বলে পান করতে হবে। - আমন্ত্রিত ব্যক্তি অনুমতি না নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করবে না।
- পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির জন্য হাদিয়া বা উপঢৌকন প্রদান করা সুন্নাত।
- বিপদগ্রস্ত বা অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করা মুমিনের অবশ্য কর্তব্য।
গোসলের সুন্নাত তরীকা
গোসলের ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাব আমলসহ রাসূলুল্লাহ (স) যে পদ্ধতিতে ফরয গোসল করতেন, নিম্নে তা ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হলো:
- নিয়ত করা : প্রথমেই নিয়ত করবে (বুখারী: ১)। মনস্থ করবে যে, উক্ত গোসল বড় নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য এবং তা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য।
- বিসমিল্লাহ বলা : অতঃপর (বিসমিল্লাহ) বলবে । (আবু দাউদ: ১০১)।
- হাত ধৌত করা : শুরুতেই দু’হাতের কজি পর্যন্ত ধৌত করে নেবে। হাদীসে পাকে এসেছে, (রাসূলুল্লাহ (স)-এর স্ত্রী মাইমুনাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি নবী (স)-এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম এবং একটা কাপড় দিয়ে পর্দা করে দিলাম। তিনি (দ) তাঁর দু’হাতের উপর পানি ঢেলে উভয় হাত (কজি পর্যন্ত) ধুয়ে নিলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি ঢেলে লজ্জাস্থান ধৌত করলেন। পরে তাঁর হাত মাটিতে ঘষে নিয়ে ধুয়ে ফেললেন। অতঃপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, মুখমণ্ডল ও দু’হাত (কনুই পর্যন্ত) ধৌত করলেন। তারপর মাথায় পানি ঢাললেনও সমস্ত শরীরে পানি পৌছালেন। এরপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। অতঃপর (গা মোছার জন্য) আমি তাকে একটি কাপড় দিলাম । কিন্তু তা নিলেন না। তিনি দু’হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন । (বুখারী: ২৭৬, ইফা: ২৭৩, আধুনিক: ২৬৮)।
- লজ্জাস্থান ধৌত করা : দু’ হাত ধৌত করার পরের কাজ হলো শুধু বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান ধুয়ে নেওয়া। এতদসঙ্গে উরুর আশপাশ ও যেখানে যেখানে ময়লা থাকতে পারে সে অংশ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবে। (বুখারী: ২৫৭)।
- বাম হাত পরিষ্কার করে ফেলা : অতঃপর বাম হাত মাটিতে বা কোন দেয়ালে ভালো করে মাজাঘষা করে (বা সাবান পানি দিয়ে) উত্তমরূপে ধৌত করে নেবে। (বুখারী: ২৭৪)
- ওযূ করা : এরপর নামাযের ওযূর মতো পরিপূর্ণভাবে ওযু করে নেবে। (বুখারী: ২৪৮)।
- মাথা ধৌত করা : ওযূর পর ৩ বার মাথায় পানি ঢেলে চুলগুলো ভালো করে ধুয়ে নেবে, যাতে সমস্ত চুলের রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, প্রত্যেক চুলের নিচে নাপাকি রয়েছে। অতএব চুলগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নাও’ (হাদীসটি দুর্বল)। প্রথমে পানি ঢালবে মাথার ডান পাশে, এরপর বাম পাশে, অতঃপর মাথার মধ্যখানে । (বুখারী: ২৫৮)। পুরুষদের দাড়ি ও মাথার চুল ভালোভাবে ভেজাতে হবে । একটি চুলও যদি শুকনো থাকে তাহলে এ জন্য দোযখের আগুনে ফেলা হবে (আহমদ ও আবু দাউদ)। এ ভয়ে খলিফা আলী (রা) মাথার চুল কামিয়ে ন্যাড়া করে ফেলতেন *। তবে মহিলাদের শুধু চুলের গোড়া ভেজালেই যথেস্ট (মুসলিম)। তাদের খোঁপা বা বেনি খোলা জরুরি নয়।
- শরীর ধৌত করা : অতঃপর পানি ঢেলে শরীরের সর্বাঙ্গ ভিজিয়ে দেবে। পানি ঢালবে প্রথমে ডান দিকে, পরে বাম দিকে। আয়েশা (রা) বলেছেন, “নবী (স) জুতা পরা, চুল আঁচড়ানো, পবিত্রতা অর্জন ও অন্যান্য সকল কাজ ডান দিক থেকে শুরু করতে পছন্দ করতেন।” (বুখারী: ১৬৮)। কোথাও পানি না পৌছলে তিনি (দ) মাজাঘষা করে পানি পৌছাতেন।
- সবশেষে পা ধোয়া এবং ডান দিক থেকে শুরু করা : গোসলের জায়গা থেকে সরে এসে সর্বশেষ দু’ পা ধুয়ে নেবে । রাসূলুল্লাহ (স) ফরয গোসলের পর আর ওযূ করতেন না । (তিরমিযী: ১০৭, আবু দাউদ: ২৫০, নাসাঈ: ২৫২, ইবনে মাজাহ: ৫৭৯)
পেশাবের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে না থাকা
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مر النبي صلى الله عليه وسلم بقبرين فقال إنهما ليعذبان وما يعذبان في كبير أما أحدهما فكان لايسةةر من البول وأما الآخر فكان يمشي النميمة».
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন এবং বলেন, এ দুই কবরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো বড় বড় ধরনের কাজের জন্যে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের একজনের অভ্যাস ছিল সে প্রসাব থেকে পবিত্রতা অর্জন করতো না। আর অন্যজন মানুষের একজনের দোষ অন্যের কাছে বলে বেড়াত।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬১১।)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَ ثِیَابَکَ فَطَهِّرۡ ۪﴿ۙ۴﴾
“এবং তোমার কাপড়কে তুমি পবিত্র করা।” [সূরা আল-মুদ্দাসসির, আয়াত : ৪]
অতএব, আপনাদের কাপড়ে ও শরীরে যেন পেশাব না জড়ায়। যদি কোনো কারণে জড়িয়েও যায় তাহলে তা সাথে সাথে পবিত্র করে নিবেন। আমরা আমাদের নিজের জন্য ও আপনাদের জন্য এই বিপদ থেকে মহান আল্লাহর দয়া ও রহমতের দ্বারা পরিত্রাণ কামনা করছি।